2:42 PM মাই নেইবর তোতোরো | |
My Neighbor ToToRo
মাই নেইবর তোতোরো জাজাফী ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া অসাধারণ একটি কার্টুন ছবি। এটি একটি জাপানী কার্টুন হলেও ইংরেজী সাবটাইটেল সহ ইংরেজী ডাবিং একে সবার কাছেই সহজ করে তুলেছে। সারা বিশ্বের শিশু কিশোরদের কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি কার্টুন। প্রতি বছর বাংলাদেশে যখন আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব হয় তখন অবধারিত ভাবেই তালিকাতে মাই নেইবর তোতোরো থাকেই।
ছবিটির লেখক ও পরিচালকঃ হাইয়ো মিয়াজাকি।
কাহিনী সংক্ষেপঃ ছোট্ট দুইটি মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হয় তোতোরো নামে যাদুকরী ক্ষমতা সম্পন্ন একটি প্রানীর। ছোট্ট মেয়ে সাসকি আর তার বোন মেইয়ের আনন্দ বেড়ে যায় দ্বিগুন। বিপদের দিনে তোতোরোরা ওদের দুই বোনকে সাহায্য করে। মানুষ এবং তোতোরো নামক এক ধরনের প্রাণীর বন্ধুত্বের অসাধারণ কাহিনী ফুটে উঠেছে। মূল কাহিনীঃ দুই বোনের মধ্যে সাসকি বড় আর মেই ছোট। বাবা মায়ের সাথে একটা গ্রামে থাকে। গ্রামের স্কুলে পড়ে। মেই এখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি কারণ ওর বয়স মাত্র চার বছর। নতুন বাসা নেওয়ার পর বাবার সাথে মেই আর সাসুকি মিলে বাসা গুছিয়েছে।মা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বেশ দারুন কাটছিল ওদের। ওদের বাড়ির চার পাশে ছিল দারুন বন। দুই বোন মায়ের অনুপস্থিতিতে সেই বনে খেলা করতো। একদিন ছোট্ট মেয়ে মেই দেখলো খুব ছোট্ট একটা প্রানী। প্রাণিটার নাম তোতোরো। অনেক আগেই মায়ের কাছে তোতোরোদের গল্প শুনেছে। বইয়ে নাকি তোতোরোকে নিয়ে কত কত গল্প। ও যেইনা তোতোরোকে দেখলো অমনি খুশি হয়ে তোতোরোটাকে ধরতে চেষ্টা করলো। ( ওহ বন্ধুরা তোতোরো হল এমন একটা প্রানী যা ইচ্ছে করলেই আকাশে উড়তে পারে আবার ইচ্ছে করলেই অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। দেখতে অনেকটা বিড়ালের মত। তবে যেটা অনেক বড় সেটা কিন্তু দেখতে অন্যরকম।) তো যাই হোক। মেই যখন ছোট্ট তোতোরো ছানাটাকে ধরতে গেল অমনি সেটা সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে গেল। মেই সেদিকে তাকিয়েই ছিল। কিছুক্ষনের মধ্যে সে আবার দেখতে পেল। সে তোতোরোটার পিছু নিল। এক সময় ছুটতে ছুটতে এমন এক জায়গা এসে পড়লো যে দেখলেই আশ্চর্য হতে হয়। সে একটা গাছের গুড়ির ভিতর দিয়ে নিচে লাফিয়ে নামলো। আর সেখানেই ছিল সবচেয়ে বড় তোতোরো। সে সেই তোতোরোর বুকের ওপর চড়ে আদর করলো। এভাবে এক সময় সে ঘুমিয়ে গেল ।আর তোতোরোরা ওকে বনের খুব কাছে এক জায়গায় রেখে গেল। মেই এর বড় বোন সাসকি আর ওর বাবা ওকে খুজে পেল। যায়গাটা দেখে ওরাও ভীষণ অবাক হলো। মেই তোতোরো দেখেছে এটা বলতেই ওরা আশ্চর্য হয়ে গেল। মেই কসম দিয়ে বললো সে সত্যিই তোতোরোদের সাথে দেখা করেছে। আর সে মিথ্যা বলছেনা। একদিন ওদের বাবার ফিরতে দেরি হচ্ছিল। সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। মেই আর সাসকি দুই বোন বাস স্টপেজে ছাতা নিয়ে দাড়িয়ে ছিল। ক্লান্ত মেই এক সময় ঘুমিয়ে পড়লে সাসকি ওকে কাধে তুলে নেয়। ঠিক এরকম সময় সাসকি দেখলো ওর পাশে বিশাল দেহী কেউ একজন দাড়িয়েছে। আস্তে করে চোখ ঘুরিয়ে দেখতেই ও অবাক। সব চেয়ে বড় তোতোরো দাড়িয়ে আছে। বৃষ্টিতে ভিজছে দেখে সাসকির খুব মায়া হলো আর তাই বাবার জন্য যে ছাতাটা এনেছিল সেটা তোতোরোকে দিল। তোতোরো জানতোইনা কিভাবে ছাতা মাথায় দিতে হয়। সাসকি শিখিয়ে দিল। ততক্ষণে কিন্তু সাসকি মেইকে ডেকে তুলেছে। শুরু হলো ওদের বন্ধুত্ব। এর মাঝেই একটা বিশাল গাড়ি আসলো। ওটা ছিল সবচেয়ে সুন্দর একটা জিনিষ। একটা বিশাল বিড়াল যার শরীরটা বাসের মত। দরজা আছে জানালা আছে। সে দরজা খুলে দিতেই বড় তোতোরোটা উঠে বসলো আর সা করে গাড়িটা চলে গেল। কিছুক্ষণ পর বাবার গাড়ি আসলো এবং ওরা খুব আনন্দিত হয়ে বাবাকে সব বললো। এর পর বাবা ভার্সিটির কাজে আটকা পড়ে গেলেন। ওদিকে হাসপাতাল থেকে টেলিগ্রাম আসলো মায়ের শরীর খুব খারাপ। সাসকি বাবাকে ফোন করতে অন্য বাড়িতে গেল। সেই ফাকে ছোট্ট মেই হারিয়ে গেল। হুল স্থুল কান্ড। শেষে কোথাও যখন ওকে পাওয়া গেলনা তখন সাসকি সেই গভীর জঙ্গলে গিয়ে অনুনয় করে বললো তোতোরো প্লিজ আমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছেনা তুমি হেল্প করো। ঠিক এরকম সময় সত্যি সত্যি তোতোরোর সাথে ওর আবার দেখা হলো। তোতোরো ওকে নিয়ে বিশাল গাছের ওপরে গিয়ে বসলো এবং মুখ দিয়ে এমন একটা শব্দ করলো যে সাথে সাথে সেই বিশাল বিড়াল রুপী বাসটা চলে আসলো। তার পর সাসকিকে নিয়ে মেইয়ের নাম ধরে জোরে চিৎকার করেই মেইকে খুজতে চলে গেল। বিদ্যুতের গতিতে ওরা মেইয়ের কাছে ছুটে গেল। মেই তখন অনেক দূরে একটা রাস্তার ধারে মন খারাপ করে বসে ছিল। সাসকির ডাকে ও ফিরে তাকাল। ওর ইচ্ছে ছিল হাসপাতালে মায়ের কাছে যাবে। দেখা গেল বিড়াল রুপী সেই বাসের মনিটরে হাসপাতালের নাম উটেছে। এর পর সাসকি আর মেই সোজা হাসপাতালে গেল। বাবা আর মা তখন ওদের কথা আলোচনা করছিল। তারা জানতেও পারেনি মেই আর সাসকি ওদের দেখতে এসেছে। এক ফাকে মেই মায়ের জন্য আনা বুটের দানা রেখে গেল। ওর মা সেটা পেয়ে সেকি খুশি। কিন্তু বুঝতেই পারলোনা ওটা ওখানে আনলো কে।
| |
|
Total comments: 0 | |