লালপরী ও ফুলপরীর রুপকথা

আহসান ফাহিম খান

অনেক অনেকদিন আগের কথা। এক দেশে বাস করতো খুব সুন্দর সুন্দর পরীরা। সে দেশের রানীর নাম ছিল লাল পরী। সে দেখতে অত সুন্দর ছিলনা তবে সে মনে করতো সে সবার থেকে সুন্দর। দেশের এমন জায়গায় বাস করতো ফুল পরী। অনেক সুন্দর কিন্তু সে তার সুন্দর মূখটা কাউকে দখাতোনা। একদন হলো কি রাজা সেই রাস্তা দিয়ে এক যায়গা যাচ্ছিল। হঠাৎ ফুল পরী তার সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। কিন্তু এদিকে  রাজা আসছিল তা সে খেয়াল করেনি। ফুলপরী গাড়িটা দেখে থমকে যায় এবং রাস্তার এক পাশে চলে যায়। গাড়ি খুব জোরে চলছিল হঠাৎ গাড়ির বাতাসে ফুলপরীর ঘোমটা সরে গেল এবং রাজা দেখে মুগ্ধ হলেন। রাজা তার গাড়ি থামিয়ে তার সামনে  যায়। ফুল পরী দেখে অবাক যে তার সামনে রাজা দাড়িয়ে আছে।রাজা তার পরিচয় জানায় ফুলপরীও তার পরিচয় জানায়। এভাবে কথা বলতে বলতে রাজার সাথে তার ভাল সম্পর্ক হতে থাকলো। এদিকে লাল পরীর সাথে তার সম্পর্কও খারাপ হতে থাকলো। যার কারণে লাল পরী তাকে সন্দেহ করতে থাকলো। একদিন লাল পরী রাজার পিছু নিল। এবং দেখলো এই ব্যাপার। কিন্তু লাল পরী কিছু মনে নিলনা। এভাবে কয়দিন কাটলো তারপর রাজা ফুলপরীকে ধুম ধাম করে বিয়ে করে নিল এবং লাল পরীকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিল। লাল পরী যেতে যেতে অনেক দূর এক জঙ্গলের মধ্যে চলে যা। সেই জঙ্গলে এক রুপার গাছ থাকতো এবং সেই গাছে এক ধরনের ফল হতো। এই ফলের রস এবং বিচি যদি কোন বাড়ি অথবা রাজ্যের চার পাশে লাগানো হয় তবে সোনকার রাজার সাথে রানীর খুব ঝগড়া হয়। লাল পরী ঠিক তাই করলো। এরপর রাজার সাথে ফুল পরীর ঝগড়া বাড়তে থাকল এবং রাজ্যের সীমানার বাইরে রানীকে ফেলে দিয়ে আসলো আর তার পর রাজা লাল পরীকে খুজে তার সাথে সুখে সংসার করতে লাগলো।