মোঃ মহিউদ্দিন, এলএলবি, তৃতীয় বর্ষ, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটি
যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বর্ষায় চলে আসার কথা বলে চিরদিনের জন্য চলে গেলেন না ফেরার দেশে- তিনি বাংলার নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। আজ (১৯ শে জুলাই)এ দেশ বরেণ্য সাহিত্যিকের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী। আজ থেকে দুই বছর আগে এমনি এক শ্রাবণ মেঘের দিনে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের ক্যান্সার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। আর অসংখ্য গুণগ্রাহী ও পাঠককে ভাসিয়ে দিয়ে গেছেন দুঃখের সাগরে। হুমায়ূন বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ স্রষ্টা। অসংখ্য গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখে গেছেন এই জনপ্রিয় সাহিত্যিক। নিজের উপন্যাসকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাস্তবে রুপদানের এমন কীর্তি খুঁজে পাওয়া মেলাভার। জীবদ্দশায় অসংখ্য সার্থক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এই গুণী শিল্পী। আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিনে, দুই দুয়ারি, চন্দ্রকথা, শ্যামলছায়া, আমার আছে জল, নন্দিত নরকে, দূরত্ব সহ অসংখ্য বাংলা সিনেমা ও নাটক পরিচালনা করেছেন এই চলচ্চিত্রকার। এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেও নেই, আজ রবিবার ইত্যাদি নাটকের জনপ্রিয়তা বিশ্লেষণ করলেই খুঁজে পাওয়া যাবে হুমায়ূন আহমেদকে। একজন নাট্যকারের নাটক কতটুকু বাস্তবধর্মী হলে তার কোনও একটি চরিত্রের কাল্পনিক ফাঁসির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতীকী মিছিল করে জনসাধারন তা ‘কোথাও কেও নেই’ নাটকেই কেবল দেখা যায়।
হুমায়ূন ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার, সার্থক সুরস্রষ্টা। অসংখ্য বাংলা গানের সুর করেছেন এই সুরের জাদুকর। হাজার বছরের চিরায়ত জ্যোৎস্না আজো উঠে, আজো কোনও মায়ের কোলে শুয়ে জ্যোৎস্না দেখে কোনও নবজাতক। কিন্তু সেই জ্যোৎস্নার রঙ বুঝি আজ অন্যরকম। জ্যোৎস্না পাগল হুমায়ূন তোমার বিরহে তা বুঝি আরও নীল বিষাদময়।।
|