11:26 AM লুকোচুরি ভালবাসা | |
লুকোচুরি ভালবাসা -মুনতাসির সিয়াম রাজ উক উত্তরা মডেল কলেজ।
রাজু যে শুধু মেয়েটাকে ভালবাসে এমন না। দীপান্বিতা মেয়েটাও রাজুকে অনেক বেশি ভালবাসে। শুধু ভালোবাসা বলছি কেন? এক কথায় তাকে চোখে হারায়। তার চোখ যে কোথায় তা খুঁজে পাওয়া যায় না। তখন রাজুর দিকে তাকালে বোঝা যায় দীপান্বিতার চোখ কোথায় হারিয়েছে। সে যেন সারাটিক্ষন রাজুর কথাই ভাবতে থাকে। রাজুর কথাই বলতে থাকে। রাজুর অনুপস্থিতে তারই রামনাম করতে থাকে। কিন্তু রাজুর সামনে কোন কিছু প্রকাশ করার সাহস সে পায়না। মাঝে মাঝে ছোট ছোট ইংগিত দেয়ার চেষ্টা করে। এসব থেকে রাজু বুঝতে পারে মেয়েটাও ওকে ভালবাসে। কিন্তু মেয়ে মানুষের মন। কখন কি হয় তার বিশ্বাস নেই। যার জন্যে সেগুলো রাজু বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকে। যেন সে কিছু দেখেই নি। দীপান্বিতাও এর বেশি কিছু করার সাহস পায়না। যদি সে রেগে যায়। যদি সবাইকে বলে দেয়। তাহলে ওর কি হবে! পরিবারের লোক ওকে মেরেই ফেলবে। আর দুটি পরিবারের এতো মিল। সেই সম্পর্ক টাও নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আর কিছু বলে উঠতে পারে না দীপান্বিতা। আর বললেই বা কি হবে! রাজু তো তাকে ভালবাসে না। তার দিকে ভুলেও তাকায় না পর্যন্ত। তার ছায়া দেখলেও আশেপাশে যায় না রাজু। তাহলে ভালবাসার কথা বলেই বা কি লাভ হবে!! এভাবে কেটে যায় বছর। রাজু এখন পড়ালেখা করতে ঢাকায় চলে গিয়েছে। আর দীপান্বিতা সেখানেই রয়ে গেছে। অনেকদিন পর পর রাজু যখন বাড়িতে ছুটি কাঁটাতে যায়। তখন আবার সেই একই লুকোচুরির ভালোবাসা খেলা শুরু হয়। আর এর সমাপ্তি ঘটে প্রতিবারের মতোই যখন রাজু আবার ঢাকাই চলে আসে। তারপর শুরু হয় যার যার অবস্থান থেকে মনে মনে ভালবাসার খেলা। যে খেলা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত চলতে থাকে। রাজু ভাবে এইতো বেশ। এর বেশি কিছু কিবা দরকার। সে তার পরিবারকে কোন ভাবেই ছোট করতে চায় না। পরিবারের জন্য তার কিছু করতে হবে। এ লক্ষ্যই আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে সে। আর দীপান্বিতা ভাবে আমকে তুমি না ভালবাসলেও আমি তোমাকে মনে মনে ভালবেসে যাবো। এভাবেই দিন কাটতে থাকে দুজনার। এ জেনে যে এ ভালোবাসার এর থেকে বেশি আর কিছু হতে পারে না। (সংক্ষিপ্ত)- মুনতাসির সিয়াম | |
|
Total comments: 0 | |